মোঃ হাসান॥
জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা, দখল দূষনে ভরে গেছে খাল, ডাঙ্গাসহ সরকারি ডোবা নালা, ফলশ্রুতিতে কৃষকেরা ইরি-বোরো মৌসুমে পর্যাপ্ত সেচের পানি পাচ্ছে না। তাই বোরো মৌসুমে সেচের জন্য ব্লক ম্যানেজারদের দিগুন টাকা দিতে হয় কৃষকদের। এছাড়াও খালগুলো মরে যাওয়ায় দেশীয় প্রজাতির মাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। শহরের ন্যায় গ্রামের বাসাবাড়ি, হাট-বাজারে একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে থাকে। এ অবস্থায় আগাম জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলা, কৃষকদের সেচ সুবিধা, দেশীয় প্রজাতির মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি ও পানি নিস্কাশনের লক্ষে উত্তর বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু ইউনিয়নের মরা খালগুলোতে পানির রির্জাব সৃষ্ঠির পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। স্থাণীয় সংসদ সদস্য ও বরিশাল জেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ব্যক্তিগত প্রচেষ্ঠায় বিএডিসির’ অর্থায়নে ইতোমধ্যে ইউনিয়নটিতে কয়েক কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। স্থাণীয় প্রশাসন হিসেবে খালগুলো সুষ্ঠ ভাবে খনন ও খালের পাশের অবৈধ স্থাপণা ভেঙ্গে দিয়ে জনসাধারনের মধ্যে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু। ফলে বিএডিসি’র প্রধান প্রকৌশলী মোঃ হাফিজউল্লাহ চৌধুরী ও চীফ এ্যাডিশনাল মোঃ জাফর উল্লাহ খানসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে চেয়ারম্যান পিকলুর ভূয়ষী প্রশংসা করেছেন এবং ইউনিয়নের বাকি খালগুলোও খননের আশ্বাষ প্রদান করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিল্বগ্রাম থেকে নরসিংহলপট্টি ১ কিলোমিটার মরা খাল খনন কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান পিকলু জানান, ইউনিয়নের খালগুলোকে দখলমুক্ত করে গভীরতা ফিরিয়ে দিতে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ বদ্ধ পরিকর। ইউপি সদস্য নুর আলম সরদার, স্থানীয় হেলাল সিকদার, রহিম সরদারসহ অনেকেই জানান, খালটির খনন কাজ শেষ হলে শত শত কৃষক উপকৃত হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস